ইব্রাহিম এর বাংলা ব্লগ www.jahangir-any.blogspot.com এ স্বাগতম • www.jahangir-any.blogspot.com এ যে কোন মতামত পাঠানোর জন্য ব্যবহার করুন ibrahim.ali718@gmail.com / ebraim.ali97@yahoo.com এই ই-মেইল ঠিকানা • মোবাইল : +8801744603053•

শিখতে শিখতে শেখানো…

Posted on ১০:৩১ AM
ইন্টারে পড়ার সময়ই আমার এক স্যার বলল আমি এসএসসির একজন শিক্ষার্থীর গনিত শেখাতে পারবো কিনা। আমি সেই সময় থেকেই শিখানো শিখি। শিখানোর সময়ও আমাকে অনেক শিখতে হলো। ইন্টারের বন্ধুদের একটা অংশ মিলে একটি দল তৈরী করি যারা নিজেদের পড়ালোগুলো নিজেদের শিখাবে। আমাদের মধ্যে যে গ্রামারে ভাল সে অন্যদের গ্রামার শিখাতো। পদার্থ বিজ্ঞানে যে ভাল সে পদার্থ বিজ্ঞান শিখাতো। এভাবে শিখাতে গিয়ে আমাদের উভয়েরই বেশ ভাল শিখানো হতো।
ওয়েবে যারা লিখেন এবং শিখান তারাও যে অনেক জানে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করেন। বাংলা টেক ব্লগে এই বিষয়টি আমাকে অনেক অনুপ্রানিত করে আর তাই অনেক নিয়মিতই লিখে যাচ্ছি। অনেক ব্লগারই তাদের নিজেদের কাজকে, শিখা জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আর তাদের কি লাভ হচ্ছে না? যারা নিয়মিত লিখে যান তাদের গতিও থেমে নেই ।

অনলাইনে শিখাতে গিয়ে বিশেষ করে ব্লগারদের বেশ কিছু জিনিস শেখাও হয়-

১. নিয়মিত আপনি লিখে গেলে দেখতে অনেক সময়ই নতুন বিষয় খুজে বেড়াবেন যা লেখা যায়। লেখার উপকরণ খুজতে গিয়ে অনেক সময় নতুন কোন বিষয় শিখা হয়ে যাবে।

২. আবার সাধারন শেখা আর শিখানোর জন্য শেখা ভিন্ন জিনিস। আপনি যদি কাজটি করতে চান তখন হয়তো কাজটা সম্পন্ন করাই আপনার লক্ষ্য হবে। কিন্তু কাজটি অন্য কাউকে শিখাতে গেলে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার একটু বেশিই জ্ঞান থাকতে হবে। আর তাই নিজের অজান্তেই আপনি গভীর মনোযোগ সহকারে শিখবেন। কারন আপনি আগেই জানেন যে বিষয়টি শিখাতে হবে।

৩. ধরা যাক, আপনি একটি বিষয়ে লিখলেন। লেখার পর মতামত অংশে বেশ কিছু প্রশ্ন আসতে পারে যা আপনি আগে চিন্তাও করেন নাই বা যা জানেনও না। এক্ষেত্রে আরেকটি নতুন বিষয় শেখার মানসিকতা তৈরী হবে।

এভাবে আমরা অন্যর জন্য কাজ করে নিজের উন্নতি সাধন করতে পারি।

Posted on ১০:২৯ AM
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে যে তিনটি বিষয় বলা হয় না
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সাধারনতঃ নতুন একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পেতে যা যা করার দরকার পরে তার উপরে কথাগুলো বলা হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমেইজেশনের ক্ষেত্রে যে তিনটি বিষয় বলা হয় না তার মধ্যে অন্যতম তিনটি বিষয় তুলে ধরা হলো-

১. দির্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাঃ
একটি ওয়েবসাইট বা পণ্য বা ব্র্যান্ডকে সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব করার ক্ষেত্রে প্রাথমিক কাজটুকু শেষ করেই অনেকের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়। একটি ওয়েবসাইটের প্রাথমিক ব্যাক লিংক এবং ব্র্যান্ডিং এর কাজটুকু অনেক সময়ই ওয়েব ডিজাইনের সাথে সম্পর্কিত থাকে আর এই কাজগুলোকে অনেকে ওয়েব ডিজাইনের মতোই প্রাথমিক কাজ হিসেবে নিয়ে এবং গুগলে ইন্ডেক্স করা এবং একটি পেজ র‌্যাংক দেওয়া পর্যন্ত অবস্থাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে ধরে নেয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনএর জন্য দির্ঘমেয়াদী কাজ করতে হবে।

২. নিয়মিত কনটেন্ট
নিয়মিত সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে নিজের সাইটের জন্য সক্রিয় রাখতে হলে অবশ্যই নিয়মিত কনটেন্ট রাখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি নিয়মিতভাবে কনটেন্ট থাকে তাহলে এগুলোকে গুগল অপ্রয়োজনীয় ভেবে নিতে পারে এবং দিন দিন এই তথ্যগুলো আনইনডেক্সও করে দিতে পারে। বরং নিয়মিত কনটেন্ট থাকলে গুগল বটও বার বার এসে নতুন এবং পুরাতন তথ্যগুলোকে রি ইনডেক্স করে নেবে।

তাছাড়াও নিয়মিত ভিজিটর পেতেও এটি সহায়ক হয়।

৩. পরিবর্তনকে আগে থেকে মেনে নেওয়া
ওয়েব পরিবর্তনশীল। এখনই ভেবে নিতে হবে যে আমাকে পরিবর্তিত হয়ে যেতে হতে পারে। সময়ের ব্যবধানে ওয়েবে টেক্সট, এনিমেশন, ভিডিও ইত্যাদির ব্যবহার বেড়েই চলছে। সেই সাথে ডিজাইন ও লেআউটেও সৃজনশীলতার ধারা প্রবাহিত হচ্ছে এবং এই প্রবাহ চলতেই থাকবে।

এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ যেমন ডিজাইন ও কোডিং এ নতুন ধারা এনেছে। তেমনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে সামাজিক নেটওয়ার্কের প্রভাবও বেড়েই চলছে। আর তাই পরিবর্তনের ধারায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনেও পরিবর্তন আনতে হবে।

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...

English

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

রেডিও আমার

Ibrahim-any. Blogger দ্বারা পরিচালিত.