ইন্টারে পড়ার সময়ই আমার এক স্যার বলল আমি এসএসসির একজন শিক্ষার্থীর গনিত শেখাতে পারবো কিনা। আমি সেই সময় থেকেই শিখানো শিখি। শিখানোর সময়ও আমাকে অনেক শিখতে হলো। ইন্টারের বন্ধুদের একটা অংশ মিলে একটি দল তৈরী করি যারা নিজেদের পড়ালোগুলো নিজেদের শিখাবে। আমাদের মধ্যে যে গ্রামারে ভাল সে অন্যদের গ্রামার শিখাতো। পদার্থ বিজ্ঞানে যে ভাল সে পদার্থ বিজ্ঞান শিখাতো। এভাবে শিখাতে গিয়ে আমাদের উভয়েরই বেশ ভাল শিখানো হতো।
ওয়েবে যারা লিখেন এবং শিখান তারাও যে অনেক জানে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেস্টা করেন। বাংলা টেক ব্লগে এই বিষয়টি আমাকে অনেক অনুপ্রানিত করে আর তাই অনেক নিয়মিতই লিখে যাচ্ছি। অনেক ব্লগারই তাদের নিজেদের কাজকে, শিখা জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আর তাদের কি লাভ হচ্ছে না? যারা নিয়মিত লিখে যান তাদের গতিও থেমে নেই ।

অনলাইনে শিখাতে গিয়ে বিশেষ করে ব্লগারদের বেশ কিছু জিনিস শেখাও হয়-

১. নিয়মিত আপনি লিখে গেলে দেখতে অনেক সময়ই নতুন বিষয় খুজে বেড়াবেন যা লেখা যায়। লেখার উপকরণ খুজতে গিয়ে অনেক সময় নতুন কোন বিষয় শিখা হয়ে যাবে।

২. আবার সাধারন শেখা আর শিখানোর জন্য শেখা ভিন্ন জিনিস। আপনি যদি কাজটি করতে চান তখন হয়তো কাজটা সম্পন্ন করাই আপনার লক্ষ্য হবে। কিন্তু কাজটি অন্য কাউকে শিখাতে গেলে বিষয়টি সম্পর্কে আপনার একটু বেশিই জ্ঞান থাকতে হবে। আর তাই নিজের অজান্তেই আপনি গভীর মনোযোগ সহকারে শিখবেন। কারন আপনি আগেই জানেন যে বিষয়টি শিখাতে হবে।

৩. ধরা যাক, আপনি একটি বিষয়ে লিখলেন। লেখার পর মতামত অংশে বেশ কিছু প্রশ্ন আসতে পারে যা আপনি আগে চিন্তাও করেন নাই বা যা জানেনও না। এক্ষেত্রে আরেকটি নতুন বিষয় শেখার মানসিকতা তৈরী হবে।

এভাবে আমরা অন্যর জন্য কাজ করে নিজের উন্নতি সাধন করতে পারি।