Posted on
৮:১৬ PM
- by jahangir
৪৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয় বিশ্বাসী মু’মিন বান্দা আল্লাহকে ডাকে, অনন্তর আল্লাহ্ তা পছন্দ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, “হে জিবরাঈ’ল আমার (মুমিন) বান্দার এ প্রয়োজন পূরণ কর এবং তা সাময়িক রেখে পেছনে ফেল, কারণ আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি।” আর নিশ্চয় (গুনাহগার) বান্দা আল্লাহকে ডাকে কিন্তু আল্লাহ্ তা ঘৃণা করেন। অতঃপর মহান আল্লাহ্ বলেন.“হে জিবরাঈ’ল আমার বান্দার প্রয়োজন পূরণ কর এবং তার জন্য তা জলদি কর। কারণ, আমি তার কন্ঠস্বর শুনতে ভালবাসি না।”
ইবনু আসাকির এ হাদীসটি আনাস (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৪৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- নিশ্চয়ই জিবরাঈ’ল (আ) আদমের প্রয়োজন মেটানোর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রয়েছেন। অতঃপর কোন অবিশ্বাসী বান্দা যখন দু’আ করে তখন মহান আল্লাহ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন পূরণ করে দাও। আমি তার দু’আ শুনতে চাই না।” আর কোন মু’মিন বান্দা যখন দু’আ করে তখন আল্লাহ্ বলেন, “হে জিবরাঈল! তার প্রয়োজন স্থগিত রাখ, কারণ আমি তার আহবান শুনতে পছন্দ করি।”
ইবনুন নাজ্জার এ হাদিসটি হযরত জাবির (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৪৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “আমার প্রতি বান্দার যে ধারণা রয়েছে আমি তার সাথে থাকি। সে যখন আমাকে স্মরণ করে আমি তখন তার সাথেই থাকি।” রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “আল্লাহর কসম! তোমাদের তওবা করায় আল্লাহ্ সেরূপ আনন্দিত হন, মরুভূমিতে হারিয়ে হারিয়ে যাওয়া প্রাণী খুজে পেলে তোমরা যেরূপ আনন্দিত হও। আমার দিকে যে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই। আমার দিকে সে এক হাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে এক গজ অগ্রসর হই; আর সে যখন আমার দিকে পায়দলে অগ্রসর হয়, আমি তখন দ্রুতবেগে তার দিকে অগ্রসর হই।”
মুসলিম এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৪৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ এক বান্দাকে দোযখে প্রবেশ করানোর আদেশ দেবেন। সে যখন দোযখের প্রান্তদেশে উপনীত হবে, তখন পিছু ফিরে তাকবে এবং বলবে, “আল্লাহর কসম! ‘হে প্রতিপালক! তোমার সম্পর্কে আমার কি ভাল ধারণা ছিল না? তখন মহান প্রতাপশালী আল্লাহর বলবেন, “তাকে ফিরিয়ে আন। কারণ, আমি আমার বান্দার ধারণার সাথে অবস্থান করি।” আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
বায়হাকী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৪৮. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ওহে আমার বান্দা! আমার সম্পর্কে তোমার ধারণার সাথে আমি আছি। তুমি যখন আমার আহবান কর, আমি তখন তোমার সাথে থাকি।”
৪৯. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে বান্দাদের ধারণার সাথে আমি আছি। কেউ যদি সুধারণা পোষণ কর, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর। আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবে তার জন্য তা কল্যাণকর।”
তিবরানী এ হাদিসটি হযরত ওয়াসিল (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৫০. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রান্ত আল্লাহ্ বলেন, “আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণার সাথে আছি। আর আমাকে যখন সে স্মরণ করে, আমি তখন তার সাথেই অবস্থান করি। সে যদি আমায় মনে মনে স্মরণ করে, আমিও তাকে মনে মনে স্মরণ করি। সে যদি আমাকে কোন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করে, তবে আমি তাকে ওর চেয়েও উৎকৃষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে স্মরণ করি। সে যদি আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তার দিকে আমি একহাত অগ্রসর হই। সে যদি আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তবে তার দিকে আমি এক গজ অগ্রসর হই। আর সে যদি আমার দিকে পায়দলে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে আগাই।
আহমদ ও শায়খইন এ হাদীসটি আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৫১. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও মর্যাদাশালী আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণার সাথে আমি আছি। সে যদি আমার প্রতি সুধারণা পোষণ করে তবে তা তারই সাথে থাকবে, আর যদি সে খারাপ ধারণা পোষণ করে, তবেও তা তারই সাথে থাকবে।
আহমদ এ হাদিসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৫২. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- কোন বান্দাই শুধু তিনবার ‘হে প্রভূ’ বলে না; বরং সুমহান আল্লাহ্ বলেন, “ও হে বান্দা! আমি উপস্থিত আছি।” অনন্তর তিনি যা ইচ্ছে তাড়াতাড়ি করেন এবং যা ইচ্ছে বিলম্বিত করেন।
দায়লামী এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৫৩ . রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান ও পরাক্রমশীল আল্লাহ্ বলেছেন, “আমার কোন বান্দা অন্য কোন প্রিয়বস্তু দ্বারা আমার নিকট প্রিয় হয় না যে পর্যন্ত সে আমি তার প্রতি যা ফরজ করেছি, তা আদায় না করে।”
খাতীব এ হাদীসটি আলী (রাঃ থেকে সংগ্রহ করেছেন।
-
|
Posted on
৮:১৪ PM
- by jahangir
৪৩. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- মহান আল্লাহ্ বলেছেন, “ও হে আদম সন্তান। যতক্ষণ তুমি আমায় স্মরণ কর ততক্ষণই তুমি আমার শুকরিয়া আদায় কর। আর যতক্ষণ তুমি আমাকে বিস্মৃত থাক ততক্ষণ তুমি আমার প্রতি নাশুকর থাক।”
ইবন্ শাহীন এ হাদীসটি হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
-
|
Posted on
৮:১৩ PM
- by jahangir
৫. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- সুমহান আল্লাহ্ বলেছেন, “নিশ্চয়ই আমি এবং জিন ও মানব জাতি এক মহাপরিস্থিতিতে অবস্থান করছি। তাদেরকে আমি সৃষ্টি করি, আর তারা অন্যের উপাসনা করে, তাদেরকে আমি জিবিকা দেই, আর তারা অন্যের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে।”
এ হাদীসটি হযরত আবুদ দারদ (রা) থেকে হাকেম ও তিরমিযী সংগ্রহ করেছেন।৬. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের প্রভূ বলেছেন, “সকলে আমাকেই ভয় করবে। কারণ, আমিই এর যোগ্য; এতএব আমার সাথে আর কাউকেও যেন উপাস্য স্থির করা না হয়। অনন্তর যে আমার সাথে আর কাউকেও উপাস্য স্থির করবে না, তাকে আমি ক্ষমা করে দেয়া কর্তব্য মনে করি।”
আহমদ ও তিরমিযী এ হাদীসটি হযরত আনাস (রাঃ) থেকে সংগ্রহ করেছেন।৭. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- তোমাদের প্রতিপালক বলেছেন, “আমার বান্দারা যদি পুরোপুরি আমার অনুগত হত, তবে নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে রাতে বৃষ্টিদান করতাম, তাদের জন্য দিনে রোদ উঠাতা এবং তাদেরকে বজ্র ধ্বনি শুনাতাম না।”
আহমদ ও হাকেম এ হাদীসটি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সংগ্রহ করেছেন।
-
|
Posted on
৮:১১ PM
- by jahangir
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم “كُلُّ سُلَامَى مِنْ النَّاسِ عَلَيْهِ صَدَقَةٌ، كُلَّ يَوْمٍ تَطْلُعُ فِيهِ الشَّمْسُ تَعْدِلُ بَيْنَ اثْنَيْنِ صَدَقَةٌ، وَتُعِينُ الرَّجُلَ فِي دَابَّتِهِ فَتَحْمِلُهُ عَلَيْهَا أَوْ تَرْفَعُ لَهُ عَلَيْهَا مَتَاعَهُ صَدَقَةٌ، وَالْكَلِمَةُ الطَّيِّبَةُ صَدَقَةٌ، وَبِكُلِّ خُطْوَةٍ تَمْشِيهَا إلَى الصَّلَاةِ صَدَقَةٌ، وَتُمِيطُ الْأَذَى عَنْ الطَّرِيقِ صَدَقَةٌ”. [رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ: 2989، وَمُسْلِمٌ: 1009] আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “প্রত্যেহ যখন সূর্য উঠে মানুষের (শরীরের) প্রত্যেক গ্রন্থির সাদকাহ্ দেয়া অবশ্য কর্তব্য। দু’জন মানুষের মাঝে ইনসাফ দেয়া হচ্ছে সাদকাহ্, কোন আরোহীকে তার বাহনের উপর আরোহন করতে বা তার উপর বোঝা উঠাতে সাহায্য করা হচ্ছে সাদকাহ্, ভাল কথা হচ্ছে সাদকাহ্, সালাতের জন্য প্রত্যেক পদক্ষেপ হচ্ছে সাদকাহ্ এবং কষ্টদায়ক জিনিস রাস্তা থেকে সরানো হচ্ছে সাদকাহ্।” [বুখারী: ২৯৮৯, মুসলিম: ১০০৯]
-
|
Posted on
৮:১০ PM
- by jahangir
عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “…….لو يعلمون ما في التهجير لاستبقوا إليه……” [رواه البخاري: 615 ومسلم: 981]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আর তারা যদি জানতো অগ্রিম নামাযে আসার ফযীলত কত বেশী, তাহলে অবশ্যই তারা আগেই (নামাযের জন্য) আসতো।” [বুখারী: ৬১৫, মুসলিম: ৯৮১]
-
|
Posted on
৮:০৮ PM
- by jahangir
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَشْرَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أُطُمٍ مِنْ آطَامِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ هَلْ تَرَوْنَ مَا أَرَى قَالُوا لَا قَالَ فَإِنِّي لَأَرَى الْفِتَنَ تَقَعُ خِلَالَ بُيُوتِكُمْ كَوَقْعِ الْقَطْرِ . [رواه البخاري: 21/450 كباب الفتن, باب- قول النبي ويل للعرب]
ওসামা বিন যায়েদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা মদীনার টিলাসমূহের মধ্যে কোন একটি টিলার উপর আরোহন করে বললেন: আমি যা দেখছি, তোমরা কি তা দেখছো? (সাহাবাগণ) বললেন: না। তিনি বললেন: আমি তোমাদের ঘরসমূহে ফেৎনা বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায় পতিত হতে দেখছি। [বুখারী: ২১/৪৫০, কিতাবুল ফিতান, বাব- কাওলুন নবী ওয়াইলুন লিল আরব।
-
|